
14
Aug 2015মদ্যাসক্তির চিহ্নগুলি কি কি?
Posted by Responsible Consumption / in মদ্যাসক্তি কমানো / No comments yet
মদ্যাসক্তি আর মদে নেশাসক্ত হওয়াটা একেবারে একইরকম, আর প্রায়ই এটা স্রেফ একটা মাত্রা বা তীব্রতায় ফারাক মাত্র।
মদ্যাসক্তি আর মদের নেশাসক্তির কিছু কিছু চিহ্ন আর উপসর্গ হল :
- একা একা মদ্যপান
- গোপনে মদ্যপান
- কতটা খাওয়া হল তার মাত্রা বুঝতে না পারা
- ব্ল্যাক আউট হওয়া – কতটা সময় গেছে তার হিসেব রাখতে না পারা
- কিছু বিশেষ নিয়ম মানা আর এই সব নিয়ম পালনে বাধা পড়লে বা এ নিয়ে কটুক্তি হলে ক্ষুব্ধ/বিরক্ত হওয়া। এটা এরকম হতে পারে যে কাজ শেষ হওয়ার পর, কিংবা খাওয়ার আগে, সময়ে বা পরে মদ্যপান করা ইত্যাদি।
- আগে যেসব শখ বা অভ্যাস উপভোগ্য ছিল সেগুলো ছেড়ে দেওয়া বা সেগুলোতে আগ্রহ হারানো
- মদ্যপানের আকাঙ্ক্ষা অনুভব করা
- মদ্যপানের সময় যত কাছে আসে ততই বিরক্তি বাড়া। এই বিরক্তিবোধটা তীব্র হয় যদি মদ না পাওয়া যায় বা পাওয়া যাবে না এমন আশঙ্কা দেখা দেয়।
- যেখানে থাকার কথা নয় সেখানে মদের বোতলের স্তূপ
- মাতাল হয়ে যেতে ঝটপট মদ গেলা আর তারপর রঙীন হয়ে ওঠা
- সম্পর্কের ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দেওয়া (মদ্যাসক্তির দ্বারা চালিত)
- আইনি সমস্যা তৈরি হওয়া (মদ্যাসক্তির জন্যই ঘটা)
- কাজের ক্ষেত্রে সমস্যা সৃষ্টি হওয়া (মদ্যপানের কারণে অথবা যার মূল কারণই মদ্যাসক্তি)
- আর্থিক সমস্যা দেখা দেওয়া (মদ্যাসক্তির কারণেই)
- নেশা হওয়ার জন্য ক্রমশ আরও বেশি পরিমাণে মদ লাগা
- বমি-বমি ভাব, ঘাম হওয়া বা মদ পান না করা অবস্থায় দেহ কাঁপতে থাকা
যে ব্যক্তি মদের কু-প্রভাবে পড়েছে তার এইসব চিহ্ন আর উপসর্গ থাকতে পারে তবে মদ্যাসক্তের মতো তার উইথড্রয়াল সিম্পটম থাকবে না কিংবা থাকবে না মদ্যপানের জন্য একই মাত্রার বাধ্যতা-ও।
মদ্যাসক্তি সংক্রান্ত সমস্যাগুলি সুপ্রচুর এবং এগুলো সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে শারীরিক, মানসিক ও সামাজিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। নেশাজনিত সমস্যায় ভোগা কোন মানুষের কাছে মদ্যপান-টা বাধ্যতা হয়ে ওঠে আর এটা সবকিছুর চেয়ে আগে হয়ে দাঁড়ায়। এই সমস্যাটা বেশ অনেক বছর ধরে অনির্ণীত-ও থেকে যেতে পারে।